নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের সুপার লিগে দুটি করে ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। দুই ম্যাচে শেষেও শিরোপার ফয়সালা হয়নি। তাই ট্রফির মিমাংসার জন্য শেষ পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে সুপার লিগে টানা দুই জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে আরএন রোড বয়েজ। আরএন রোড বয়েজের সাথে শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে উপশহর ইয়ুথের ও প্রদীপ্ত পথ ক্রিকেট একাডেমির। টানা দুই হারে রেস থেকে ছিটকে পড়েছে আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব। উপশহর ইয়ুথ শেষ ম্যাচে আজাদকে হারালে এবং প্রদীপ্ত পথ যদি আরএন রোড বয়েজের বিপক্ষে জয় পায় তাহলে তিন দলের পয়েন্ট সমান হবে।
সোমবার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা ৩৯ রানে হারিয়েছে উপশহর ইয়ুথ ক্লাবকে। সোমবার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে। মাঝারি মানের এই পুঁজিকেই জয়ের জন্য যথেষ্ট বানিয়ে ফেলে আরএন রোড বয়েজের বোলাররা। তারা উপশহর ইয়ুথকে ৩১ ওভারে ১৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রায় হারতে বসা ম্যাচে জয় উৎসব করে।
টসে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে আরএন রোড বয়েজ। তবে ব্যাটিংয়ে মোটেই সুখকর ছিল না তাদের জন্য। উপশহরে ইয়ুথের দুই পেসার রয়েল ও সাঈদ হাসান জনির বোলিং তোপে ১৩ রানেই টপ অর্ডারে ব্যাটার সাজঘরে পথ ধরে। এখান থেকে শত রানের জুটি গড়ে আরএন রোড বয়েজকে উদ্ধার করেন আদ্রিব জামান বর্ণ ও তাহমিদ হাসান কাফি। দুজনে দলের রানকে নিয়ে যান ১১৪ রানে। এর মধ্যে ৭১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ে অর্ধশতক তুলে নেন কাফি। ফিফটির পর কাফি খেলেন ২৫ বল। এই ২৫ বল থেকে দুটি চার ও এক ছয়ে ২৭ রান করেন কাফি। তবে অপর দিকে ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন বর্ণ। দলের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে বর্ণ ৯৬ ২টি করেন ৩৫ রান। এরপাশে উইকেটকিপার রাকিবুল ইসলাম ১৬ বলে ১৪ ও আবু সাঈদ ১১ রান করেন।
বল হাতে উপশহর ইয়ুথের রিয়াদ ৪৯ রানে ৩টি, সুমন ২১ ও রয়েল ৩৭ রানে ২টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে উপশহর ইয়ুথ। তবে সেখান জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল মিসবাহ ও পিংকু। ৭ ওভার ২ বলে একসাথে থেকে দুজনে স্কোর বোর্ডে জমা করেন ৭২ রান। পিংকু ২৩ বলে ২চার ও এক ছয়ে ২৫ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। ওই ওভারে সপ্তক রিজভীকে তুলে নিলে চাপে পড়ে উপশহর ইয়ুথ। এর কিছু সময় পর মিসবাহও প্যাভালিয়নের পথ ধরেন। ৩৭ বলে ফিফটি করা মিসবাহ শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ১৩ চারে ৬৯ রান করেন। শেষ দিকে রয়েল কিছুটা চেষ্টা করেন। তবে ২৭ এক চার ও এক ছয়ে তার ২৭ রান শুধুমাত্র জয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
আরএন রোড বয়েজের সপ্তক শাহারিয়ার ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। এর পাশে রাহাতুজ্জামান ৪৬ রানে ৩টি ও তাহমিদ হাসান কাফি ৩৯ রানে দুটি উইকেট দখল করেন।