নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর অফিস পুলিশের বাঁধার কারণে যশোর জেলা বিএনপি বাকশাল ও গণতন্ত্র হত্যা- কালো দিবস পালন করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারাদেশে বৃহস্পতিবার বাকশাল ও গণতন্ত্র হত্যা কালো দিবসে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে যশোর শহরের লালদীঘির পাড়ে বিএনপি কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। তবে পুলিশের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, বৃহস্পতিবার লালদীঘির দলীয় কার্যালয়ে বাকশাল ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্বনির্ধারিত সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় দলের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অংশ নেয়ার কথা ছিলো। এরই আলোকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দুপুরের পর দলের নেতাকর্মীরা বিএনপি অফিসে আসতে থাকেন। কিন্তু তার আগেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ বিএনপি অফিসের প্রবেশের দুই পাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশের জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ রয়েছে বলে জানান বলে দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে বাধা দেয়। দেশে বর্তমান নব্য একদলীয় বাকশাল কায়েম হয়েছে এ ঘটনার মধ্যে প্রমাণ হয়েছে তিনি বলেন। তিনি বলেন, বাকশাল ও গণতন্ত্র হত্যা এবং কালো দিবসের কর্মসূচি আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। অথচ প্রশাসন এমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও করতে দিলোনা। এর মাধ্যমে দেশে যে আইনের শাসন, গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় বাকশাল সরকার কায়েম হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।