কল্যাণ রিপোর্ট : ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হল সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হল নামাজ। যে যত বেশি নামাজ আদায় করবে, পরকালীন সফলতা তার তত বেশি।পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামী শরিয়তে রয়েছে। অবস্থা যেমনই হোক— নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হয়। কেউ অসুস্থ হলেও নামাজ আদায়ের নিয়ম রয়েছে। তাই নামাজ থেকে দূরে সরে থাকার সুযোগ নেই। তবে কিছু সময় রয়েছে, যখন নামাজ পড়া বরং শরিয়তের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ। অর্থাৎ এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। সেগুলো হলো—
১। সূর্যোদয়ের সময়, অতএব সূর্য পুরোপুরি উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না। (বুখারি, হাদিস : ১৫২৩) গবেষণা করে দেখেছেন সূর্য উঠার পর হলুদ আলো দূর হতে ২০ মিনিট সময় লাগে।
২। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময়। সূর্য ঢলে পড়লে— পুনরায় নামাজ পড়ার বৈধ সময় শুরু হয়। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩) সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপরে থাকে তখনও সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা নিষেধ। আরবি ভাষায় এ সময়কে ‘জাওয়াল’ বলে। যখন সূর্য একটু হেলে পড়বে তখন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। এ সময় সব ধরনের নামাজ এবং সেজদা করা জায়েজ। সূর্য মাথার ওপর থেকে হেলে পড়তে বেশি সময় লাগে না।
৩। সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে ওই দিনের আসর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৫)
নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা এলে তা আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। সেরূপ কোনো ব্যক্তি এ সময় আয়াতে সিজদা পাঠ করলে সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৬; সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৩১; মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩; সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাসময়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।