রাজগঞ্জ (মণিরামপুর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের গৌরীপুর মৌজার বলদালী বিলের একটি ঘেরকে কেন্দ্র করে। শালিসি বৈঠকের মধ্য দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
গৌরীপুর মৌজার বলদালী মরকড় নামক বিলে লিজ নিয়ে ৮০ থেকে ১০০ বিঘার জমি উপর একটি মৎস্য ঘের তৈরি করেন মিলন ও তার বোনাই আ. হালিমসহ কয়েকজন। এরপর বাৎসরিক লিজের মাধ্যমে ঘের পরিচালনা করে আসছেন তারা। যার মেয়াদ এখনো ১৩ মাস আছে। এর মাঝে একটি চক্র ঘেরটি আব্দুল হালিম, আব্দুর রাজ্জাককে না দেয়ার জন্য অতিগোপনে অন্য দুই শেয়ার বুলবুল ও আবু সাঈদ নতুন করে জমি মালিকদের কাছ থেকে চুক্তি (ডিড) করে নেয়। বিষটি জানতে পেরে রাজ্জাক-হালিম জমি ইজারার ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে আদলতে মামলা করে। এ অবস্থায় ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মফিজুর রহমানের সহযোগিতায় টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ও জমির লিজকৃত ডেট থাকাকালীন দুপক্ষ ঘেরের ব্যবসা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অপর পক্ষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অতিগোপনে অন্য দুই শেয়ার বুলবুল ও আবু সাঈদ নতুন করে জমি মালিকদের নিকট থেকে চুক্তি (ডিড) করে নেয়ার বিষয় নিয়ে দুই পক্ষে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
ঘটনাটি মীমাংসায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ হাই ও সাবেক মেম্বার আমজেদ আলী খাঁন, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, আ. ওদুদ, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিল্লাল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসি বৈঠক বসে। শুক্রবার বিকেলে নেংগুড়া বাজারের ফজলুর রহমানের ঘরে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্তের আগে দুই পক্ষের হট্টগোল ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে দুই জন আসামিকে আটক করা হয়।