নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘রেলেস্টেশন’ নেই বলে সখিনা বেগম টিকা নিতে পারেননি। টিকা নিতে গিয়েছিলেন সখিনা বেগম। মনের খুশিতে আগ্রহ নিয়ে তিনি টিকা কেন্দ্রে যান। লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকা দেবার পূর্ব মুহূর্তে তাকে জানানো হয় তিনি টিকা পাবেন না। কারণ সখিনা বেগমের রেজিস্ট্রেশন নেই। যে আগ্রহ নিয়ে তিনি টিকা দিতে গিয়েছিলেন মনের ঠিক উল্টো অবস্থা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। পথে যেই জানতে চেয়েছেন, টিকা দেয়া হয়েছে কিনা। তার সাথে বলেছেন, তার রেলেস্টেশন নেই বলে টিকা দেবে না।
সখিনা বেগমের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। টিকা দিতে গিয়েছিলেন গ্রামের পাশে লাউজানী স্কুলে।
সখিনার ভাষায় রেলেস্টেশনের সমস্য শুধু তার নয়, শিক্ষিত অশিক্ষিত লাখো মানুষ এ সমস্যার শিকার। শিক্ষিতদের অনেকেই আজো রেজিস্ট্রেনের বিষয়ে হেজিটেশনে ভোগেন। আর অশিক্ষিতরা এসব বোঝাবুঝির ধারে কাছে নেই। যে সখিনা রেজিস্ট্রেশন কথাটা বলতে পারেন না এমন কি বোঝেনও না তারা এ প্রক্রিয়ায় টিকা দেবেন কি করে। এ কারণেই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পরও টিকা নিতে মানুষের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেছেন, বার বার মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠালেও কাক্সিক্ষত হারে মানুষ টিকা নিতে আসছেন না। এ কারণে টিকাদান কর্মসূচিকে শতভাগ সফল করতে ১৮ বছরের উর্দ্ধে সবাইকে টিকা কার্ড (রেজিস্ট্রেশন), জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি যাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডও নেই তারাও টিকা পাবে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে এ টিকা দেয়া হবে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যে শতভাগ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করা হবে। সিভিল সার্জন বলেছেন, প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া গেলে এ লক্ষ্য পূরণ হবে। এ লক্ষ্য পূরণে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
টিকাদানে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ যে নন্দিত উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সখিনা বেগমদের আর রেলেস্টেশন সমস্যায় ভুগতে হবে না।