জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যশোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় গ্রুপ বদলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায়, গ্রুপ ত্যাগ করে মতবিনিময়ের নামে গ্রুপে যোগদানের অনুষ্ঠান। ঢাকায় এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অফিসে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন। এমপি’র টেবিল ছিল ফুলের তোড়ায় ভর্তি।
বুধবার রাতে যশোর শহরে খবর রটে শাহীন চাকলাদারকে ছাড়ছেন তার দীর্ঘদিনের একদল সহচর। তাদের অনেকে প্রভাবশালী এই নেতার ডান হাত-বাম হাত নামে পরিচিত। ইসানুর নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও আপ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহীন চাকলাদাদের একদল অনুসারী দলীয় প্রতিপক্ষ নেতা কাজী নাবিল আহমেদ এমপি’র হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, সাবেক কাউন্সিলর আজিজুল হক, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রাজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু, জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলম, যুবলীগের মোকছেদুর রহমান ভুট্টো, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ শাহজাহান কবির শিপলু, জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আকবরের ছেলে আবদুর রহমান কিনাসহ অনন্ত অর্ধশত নেতাকর্মী কাজী নাবিল গ্রুপে যোগ দিয়েছেন।
গ্রুপ ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে শেখ জাহিদ হোসেন মিলন কড়া ভাষায় শাহীন চাকলাদারকে সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এতদিন ভুল পথে হেঁটেছি। আমরা যশোরে আ.লীগের দুর্গ গড়ে তুলবো এমপি নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে।
তবে বহুল আলোচিত শেখ জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের বিরুদ্ধে সোহাগ হত্যাসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। আর শিপলু বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার সময় পুলিশের হাতে আটক হন। পরে তিনি জামিনে আছেন। জাকির হোসেন রাজিব যশোরে ফেন্সি রাজিব নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ বহু মামলা রয়েছে। ভুট্টো নিজ এলাকায় এক আতঙ্কের নাম। তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।