সালমান হাসান: শৈত্য প্রবাহের খবরে বেড়েছে গরম কাপড়ের বিকিকিনি। বৃষ্টির পর জেঁকে বসবে মাঘের শীত। তাপমাত্রা নামতে পারে ৪ ডিগ্রিতে। জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে দেশজুড়ে। এরকমই ইঙ্গিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস। ফলে জ্যাকেট ও সোয়েটারের মত গরম পোশাকের কদর বাড়িয়েছে প্রচন্ড শীতের আভাস। দোকানে ও পথেঘাটে হাকডাকে চলছে শীত পোশাকের বিকিকিনি।
শুক্রবার দিনভর রোদের দেখা মেলেনি। ছিলো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও। পৌষের শেষ দিন ছিলো গতকাল।
কয়েক দিনের তুলনায় শীত ছিল এদিন একটু বেশি। তাপমাত্রার পারদ এদিন খানিকটা নিচে নেমে আসে। যশোরস্থ বিমান ঘাঁটি মতিউর রহমানের আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল জেলার সর্বোচ্চ তামপাত্রা ছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনি¤œ ছিলো ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাত সাড়ে ৭টার দিকে এদিন তামমাত্রা নেমে আসে ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর এই তাপমাত্রা ছিলো গত কয়েক দিনের চেয়ে কম।
মেঘ-বৃষ্টি কেটে গেলে শীত বাড়ছে; এমন খবরে যশোর শহরসহ উপজেলাগুলোতেও শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে। শপিং মল ও মার্কেট পাড়াসহ রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ শীতকাপড়ের দোকানগুলোয় ভিড় জমিয়ে কেনাকাটা চলছে। চিরচেনা সেই হাকডাক- পঞ্চাশ, পঞ্চাশ। একশ, একশ। বেছে নেন। দেখে নেন। আগে আসে আগে নেন। এই ফুরায় গেলো-এমন হাকাডাকে পথে পথে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। এমন দৃশ্য শহরে ও মফস্বলেও। গ্রামে-গ্রামান্তরেও ফেরি করে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বিকেলে ঝিকরগাছা বাজারে রাস্তার পাশে শীতের পোশাক বিক্রি করছিলেন সালাম হোসেন নামে বিক্রেতা। তাকে ঘিরে অনেক মানুষ শীতের পোশাক পছন্দ করছিলেন। আব্দুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, আকাশে মেঘ করেছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। শুনছি বৃষ্টির পর ‘হেবি’ শীত নামবে। তাই শীতের কাপড় কিনছি।
যশোর শহরের মুন্শি মেহেরুল্লাহ ময়দানের পুরাতন শীত কাপড়ের দোকানেও শীত কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। কালেক্টরেট মার্কেটের শীত কাপড়ের দোকানগুলোয় নতুন করে ভিড় বাড়ছে। আবুল কালাম নামে পুরাতন এক শীত কাপড় বিক্রেতা বলেন, মাঝে কয়েক দিন শীত কম ছিলো। তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে। এমন খবরে শীত পোশাকের কদর আবারও বাড়ছে।
গতকাল মুন্শি মেহেরুল্লাহ ময়দানের পুরাতন শীত কাপড়ের দোকান থেকে জ্যাকেট ও সোয়েটার কেনেন সাবিনা হীরা নামে এক নারী। আলাপচারিতায় জানান, আবারও জেঁকে বসতে যাচ্ছে শীত। প্রচন্ড রকমের শীতের মধ্যে বিক্রেতারা গরম কাপড়ের দাম হাকেন বেশি। তাই আগেভাগেই সাশ্রয়ী দামে কয়েকটি শীত কাপড় কিনেছেন।
চলতি জানুয়ারিতে দেশজুড়ে বয়ে যেতে পারে দুটি শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নামতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রার পারদ নিচে নামতে থাকবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে যেকোনো সময় তীব্রমাত্রার এই শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।