শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে আরিফা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় স্বামীর ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আরিফা খাতুন মাজাট গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে। ১ বছর আগে ভুরুলিয়ার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের সাথে তার বিয়ে হয়।
আরিফার চাচাতো ভাই বলেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে নানাভাবে নির্যাতনের স্বীকার হতো মেয়েটা। আব্দুর রহিমের প্রথম স্ত্রীও নির্যাতনের কারণে চলে যায়। আমার বোন যেখানে গলায় দড়ি দিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেখান থেকে কোন ভাবেই গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুবরণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া নিহতের মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
আরিফার স্বামী আব্দুর রহিম বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। সন্ধ্যায় বাড়ি আসলে রান্না বান্না নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমি পুকুরে গোসলের জন্য বের হলে আমার স্ত্রী ঘরে দরজা দিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মা বাইরে ছিলো। বাড়ি আসার পর বেড়া ভেঙ্গে আমরা লাশ নিচে নামাই।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, আরিফার পিতৃপক্ষ তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছে। স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।