এসএম মিজানুর রহমান শ্যামনগর: বন্যা-জলোচ্ছাস আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপকূলের বেড়ি-বাঁধগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি-বাঁধগুলো সংস্কারের পরেও কিছু অসাধু মাছ চাষি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে দিন দিন আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে উপকূলের এসব বেড়ি-বাঁধ।
হুমায়ুন কবির বলেন, বিগত ২০০৯ সাল থেকে বেড়ি- বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থকারী মাছ চাষিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা অভিযান পরিচালনার তথ্য দিয়ে আসছে। অথচ বাস্তবে অবৈধ পাইপ ও স্লুইস গেট থেকে যায় আর উপকূলের মানুষ পানিতে ডোবে। এসব কারণেই আমি হাইকোর্টে রিট করেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্যামনগরের এসিল্যান্ড শহিদুল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উক্ত অফিস আদেশ তিনি ৫/৬ দিন আগে হাতে পেয়েছেন। এ সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী দায়িত্ব থাকার কারণে তিনি কোন অভিযান চালাতে পারেননি। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অফিসার তার সাথে যোগাযোগ করেনি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কালিগঞ্জের এসি (ল্যান্ড) রোকনুজজামান বলেন, জেলা প্রশাসকের উক্ত অফিস, আদেশটি তিনি অনেক আগেই হাতে পেয়েছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ওয়াব্দা বাঁধের অবৈধ পাইপ বন্ধ ও অবৈধ স্লুইস গেটের তালিকা ও জনবল না পাওয়ায় তিনি আজও কোন উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারেননি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি যেহেতু শুনেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।