সাজেদ রহমান:
রিপোর্টে বলা হয়, ‘সর্বশেষ সংবাদের জানা গেল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট দখল করেছে। ভারতীয় বাহিনী যশোর বিমান ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। যশোর শহর থেকে বিমানঘাঁটির অবস্থান প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে। আর যেসব এলাকা পাক ফৌজের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে সেগুলি হলো: বনগাঁর ১১ কিলোমিটার পূর্বের শার্শা ও বয়রার উত্তরপূর্বের মানচরপুর।
কুষ্টিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা শহর মেহেরপুর এখন মুক্ত। গতকাল রাতে ভারতীয় সৈন্য ও মুক্তিফৌজ একযোগে প্রবেশ করে এবং পাক ফৌজের সঙ্গে প্রচন্ড যুদ্ধের পর মেহেরপুর মুক্ত করা সম্ভব হয়।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাক ফৌজ উৎখাত করার জন্য জোর লড়াই চলছে। যশোর শহরের দু’দিক থেকে ভারতীয় সৈন্য ক্যান্টনমেন্টের দিকে এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় সৈন্যরা গত রাতেই যশোর ক্যান্টনমেন্টের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যুহভেদ করে ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে। আজ ইস্টার্ণ কমান্ডের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান যে, ক্যান্টনমেন্টের চারদিকে বাংকার, পিল বকস এবং টেঞ্চ প্রভৃতি দ্বারা এর নিরাপত্ত ব্যবস্থা করা আছে।
ভারতীয় সৈন্য গতরাতে বনগাঁ থেকে সরাসরি সড়ক পথে যশোর অভিমুখে রওনা হয়। ওদিকে ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া যশোর রোড ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর এক দিক থেকে যশোর ক্যান্টনমেন্টকে আঘাত হানার জন্য এগিয়ে যায়।
…ইতোমধ্যে যশোরে আমাদের সেনাবাহিনী দুটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী কামান, দুটি ৩৭ ইঞ্চি মাউন্টেন গানস এবং ১৫টি সামরিক গাড়ি হস্তগত করেছে। ইস্টার্ণ কমান্ডের মুখপাত্র বলেন যে, কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার কাজীপুর থেকে পাক সৈন্য মুক্ত হয়েছে। ঝিনাইদহ পাক সেনা বাহিনীর সদর দফতরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ভারতীয় সেনারা গুরুত্বপূর্ণ খালিসপুর সেতুটি দখল করেছে।