সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মনোমুগ্ধকর এই অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “আমরা আগে এসব টিভিতে দেখেছি। কিন্তু সরাসরি চোখে দেখার আলাদা একটা অনুভূতি। অ্যাক্রোবেটিক শোতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যা মানুষকে যেমন আনন্দদান করে, তেমনি শিশুদের শেখারও বিষয় রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে অ্যাক্রোবেটিক শো করা প্রয়োজন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নাসরিন খান লিপি ও ঢাকার অ্যাক্রোবেটিক’র টিম লিডার ইতিহাস প্রমুখ।
দম আটকানো শারীরিক কসরত। একচুল এদিক-ওদিক হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তাসের ওপর তাস নয়, এ তো দেহের ওপর দেহ সাজানোর খেলা। একের শরীরে অন্যজন ভর দিয়ে তৈরি করছে নানা দৃশ্য প্রতিরূপ, জ্যামিতিক আকার। মনোমুগ্ধকর আয়োজন শ^াসরুদ্ধকর অনুভূতিরই জন্ম দিল সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির দর্শকদের মনে। চীনা অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দর্শকদের অনেকেরই দেখা। কিন্তু এবার এদশের অ্যাক্রোবেট শিল্পীরাই প্রমাণ দিলেন, তারাও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বড় ও ছোট শিল্পীরা অ্যাক্রোবেটিক শোতে অংশ নেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো কসরত চলছিল মঞ্চে। নানা ধরনের অপূর্ব সাধারণ খেলা ও শরীরচর্চায় মুগ্ধতা বিরাজ করে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন।