আটক ব্যক্তির আদালতে জবানবন্দি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৭ বছর পর নড়াইল জেলার মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক চাঁন মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআইয়ের) সদস্যরা। একই সাথে হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে মকিদুল শেখকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মকিদুল শেখ নড়াইল জেলার মাগুরা গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে চাঁন মিয়াকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, ২৯ মে দুপুরে অভিযান চালিয়ে নড়াইলের বাড়ি থেকে মকিদুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার মকিদুল শেখকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মকিদুল জানান, চানমিয়া ও তার বাড়ি পাশপাশি। মকিদুলের ছোট ভাই একাদুলের স্ত্রীর সাথে চান মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানানাজি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে একাধিকবার চাঁন মিয়াকে জরিমানা করা হয়। অন্যের স্ত্রীর সাথে প্রেম থাকার কারণে চাঁনমিয়ার স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে যায়। চাঁন মিয়ার সাথে মকিদুলের ছোট ভাই একাদুলের স্ত্রীর প্রেম থাকার কারণে মকিদুলসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা চানমিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ি ১৫ সালের ৮ মার্চ রাতে মকিদুলসহ অন্যরা চাঁনমিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করে বাড়ির পূর্বপাশে অতিত করের মেহগনি বাগানে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় আদালতের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ মে নড়াইল থানায় মামলা হয়। থানা পুলিশ মামলা তদন্ত শেষে ১৬ সালের ১১ নভেম্বর চার্জশিট প্রদান করে। বাদীর না রাজির প্রেক্ষিতে আদালত নড়াইল সিআইডি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইডি তদন্ত শেষে ২১ সালের ১৯ জুন চার্জশিট প্রদান করেন। বাদি আবারো সিআইডির চার্জশিটের বিরুদ্ধে না রাজি দিলে আদালত পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে পিবিআই ২০২২ সালের ৭ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে। এস আই মিজানুর রহমানকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এস আই মিজানুর রহমান তদন্তভার গ্রহণ করে সঙ্গীয় অফিসারদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে মকিদুলকে আটক করে।