নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর কালেক্টরেট স্কুলের ডানহাতি পেসার সাদমান খান। জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যশোর জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় দারুন বোলিংয়ে তার স্কুল দলকে একাই নিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার যশোর দ্বিতীয় বিভাগ টায়ার-১ ক্রিকেট লিগের দল বিপনন হয়ে মাঠে নামেন। মাঠে নেমেই দেখিয়েছেন তার বোলিং ঝলক। এদিন শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সাদমানের সাথে উইকেট শিকারে যোগ দেন ডানহাতি অফস্পিনার নাসিম হোসেন। এতে প্রতিপক্ষ অমৃতবাজার গুটিয়ে যায় ৮৩ রানে। ফলে ৬১ রানের জয় দিয়ে লিগ শুরু করেছে বিপনন।
আগেরদিন বৃষ্টিতে আউট ফিল্ড ভেজা থাকায় এদিন নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। এতে ৩৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অমৃতবাজারের অধিনায়ক সিয়াম। ব্যাট করতে নেমে বিপনন ৩০ ওভার দুই বলে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের দলীয় ইনিংস গড়ে।
ব্যাট হাতে বিপননের মাহিনুর রহমান ৫১ বলে এক হালি চারে ৩১, তারিক সামি ৩৫ বলে ১৭, সৈয়দ আনোয়ার রাহিব ১৭ বলে দু’টি চারে ২১, আশিষ ১৭ বলে অপরাজিত ১৪ ও নাসিম হোসেন ১৩ বলে একটি চারে ১২ রান করেন।
বল হাতে অমৃতবাজারের আরিফ ১৮ রানে ও রাশেদুল ৩৮ রানে নেন তিনটি করে উইকেট। এরপাশে অন্তু নয় রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।
১৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাদমানের বোলিং তোপে ১১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে অমৃতবাজার। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রানের জুটি গড়ে আবিদ ও সিয়াম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তারিকের বলে সাহিদুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আবিদ ফিরলে ভাঙ্গে ১১ ওভার ৩ বল স্থায়ী জুটি। এরপরই দুই প্রান্ত থেকে বল হাতে নেন সাদমান ও নাসিম। এই দুজনের বোলিং তোপে স্কোর বোর্ডে আর ৩৩ রান যোগ হতেই ২৯ ওভার দুই বলে গুটিয়ে যায় অমৃতবাজারের দলীয় ইনিংস।
অমৃতবাজারের ব্যাটিং ইনিংসে আবিদ ৩৭ বলে ১৪, সিয়াম ৪৫ বলে একটি চারে ২১ ও আরিফ ২৯ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন।
বল হাতে সাদমান খান ৬ ওভার ২ বলে করে ১৯ রানে চারটি, নাসিম হোসেন দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে সাত রানে তিনটি উইকেট নেন। এরপাশে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আশিষ কুমার, তারেক সামি ও আদনান সামি হৃদয়।