কল্যাণ রিপোর্ট
যশোর শহরের শংকরপুর বাসটার্মিনাল এলাকায় সাব্বির (২০) হত্যার ঘটনায় রোববার দুপুর থেকে রাতভর ওই এলাকায় এবং আশেপাশে পুলিশের একাধিক টিম সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েও হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। এর ফলে কী কারণে বা কারা এই হত্যায় জড়িত তা এখনো অজানা রয়ে গেছে।
গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শংকরপুর বাসটার্মিনাল এলাকায় একটি খাবারের দোকানে কাজ করাকালে একই এলাকার মুসা নামে তার এক বন্ধু তাকে মোবাইল করলে সাব্বির যশোর কলেজ রোডের একটি ইজিবাইকের গোডাউনের পাশের খালি জায়গায় যায়। দোকানে থাকাকালীন তার সাথে কাজ করছিল সাব্বিরের মা মাসুদা বেগম। কিছুক্ষণ পর মাসুদা বেগম জানতে পারেন সাব্বির ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছে। তিনি সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সাব্বির মারা যায়।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, সাব্বিরের বন্ধু মুসা ছাড়াও ঘটনাস্থলে ছিলো সুইট, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন। তারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত গত কোরবাণীর ঈদের পরদিন ওই এলাকায় টুনি শাওন নামে এক যুবককে ধাওয়া করে ধরে ফেলে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বেশ কয়েকজন উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী। ওই ঘটনার পর সাব্বির বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। যদিও টুনি শাওন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাব্বির আসামি ছিলো না। ৪/৫দিন আগে সাব্বির বাড়িতে ফেরে। তার ফিরে আসাটায় কাল হয়ে যায়। টুনি শাওন হত্যার প্রতিশোধ নিতে সাব্বিরকে খুন করা হয় বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে।
এ দিকে এই ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু সন্দেহভাজন মুসা, সুইট বা রায়হানকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে রোববার এক প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সাব্বির হত্যার পর পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আসামি আটকের সংবাদ দিতে পারবো। এদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এখনো (রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত) কোন মামলা করেনি। মামলা দিলে তা রেকর্ড করা হবে।
ছুরি বা চাকুর অবৈধ ব্যবহার রোধ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন এই ধরনের অপরাধ বন্ধ ছিলো। পুলিশ এই সব অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।