নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজয় দিবস উপলক্ষে গত তিনদিনে গদখালী ফুল বাজারে সোয়া কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় পূর্বের বাজার দর থেকে বেশি দামে ফুল বিক্রি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গদখালী ফুল বাজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে গত তিনদিনে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদাফুল। বাজারে এ গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৮০০- ৯০০ টাকা হাজার। যা পূর্বের দাম ছিল দেড় থেকে ২৫০-৩০০ টাকা হাজার। গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৪-৬ টাকা, যা পূর্বে ছিল দেড় থেকে ২ টাকা। রজনীগন্ধার প্রতি স্টিক বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮-১০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৭-৮ টাকা। গ্লাডিউলাস রঙ্গিন বিক্রি হয়েছে ৬-১৫ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩-৬ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১২-১৪ টাকা, যা পূর্বের দাম ছিল ৬-৮ টাকা। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা আটি, যা পূর্বে দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। জিপসির আটি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। যা পূর্বের দাম ছিল ২০-২৫ টাকা।
বাজারে কথা হয় উপজেলার আশরাফ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ১৭ কাটা জমির গাঁদাফুল বিক্রি করেছি ৭০ হাজার টাকা। এর আগে আম্ফানের সময় একই ক্ষেতে গাঁদাফুল লাগিয়ে ছিলাম, তখন মাত্র ২০০ টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম।
পানিসারা গ্রামের বর্গাচাষি মজিদুর রহমান সরদার বলেন, এক বিঘা জারবারা, চন্দ্রমল্লিকা, চায়না গোলাপ, ১০ কাঠা গ্লাডিউলাস ও ১৫ কাঠা জমির গাঁদাফুল বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকা। তবে এসব ক্ষেতে অসময়ের বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় তা নিষ্কাশনে বেশ কিছু টাকা ব্যয় হয়েছে।
কুলিয়া গ্রামের ফুলচাষি শাহ আলম বলেন, ১৫ কাটা জমির গাঁদাফুল ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। জারবেরাসহ অন্যান্য ফুল মিলে গত তিনদিনে দেড় লাখ টাকার বিক্রি করেছি। এতে করোনা, আম্ফান ঝড় ও অসময়ের বৃষ্টির পর যেন একটু স্বস্তি পেলাম ফুল চাষে।
ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দেড় লাখ টাকার ফুল কিনেছি। ব্যবসায়ী আকবর আলী এক লাখ টাকার ফুল কিনেছেন। ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, অনেকদিন পরে গত তিনদিনে সাড়ে তিন লাখ টাকা ফুল কিনেছি।