কল্যাণ রিপোর্ট :
যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তিন কিশোরকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার তিন কিশোর নিখোঁজ হয়। ওই তিন কিশোরের অভিভাবক নিখোঁজের অভিযোগে থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগের কপি গ্রহণ করেছে। তবে জিডি এন্ট্রি করেনি। পুলিশের কোন বিভাগ আটকের তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে। পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে শহর জুড়ে অভিভাবক মহলে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
নিখোঁজ ৩ কিশোর হলো, শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে শোয়াইব হোসেন (১৪), মুড়লীর মোড়ের রাজু আহমেদের ছেলে আরাফাত হোসেন (১৬) এবং একই এলাকার মাসুদ শেখের ছেলে ইমদাদুল (১৬)।
তাইজুল ইসলাম বলেছেন, তিনি জেলা পরিষদের মাঠে পুরনো কাপড়ের ব্যবসা করেন। তার ছেলে শোয়াইব জিলা স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তার ছেলে বাইসাইকেলে করে দোকানে এসে তাকে খাবার দিয়ে যায়। পরে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও বাড়িতে পৌঁছায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথায় সন্ধান না পেয়ে রাতে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মাসুদ শেখ বলেছেন, তিনি মুড়লীর মোড়ের র্যাংগস মোটরসের কেয়ার টেকার। তার ছেলে ইমদাদুল এবার অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে সে মুড়লীর হাজি মুহাম্মদ মহসিন স্কুল মাঠে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়েছে। আমি বিভিন্নভাবে জানতে পারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কে বা কারা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে রাতেই কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ অভিযোগের কপি রেখে দিলেও কোনো জিডি এন্ট্রি করেনি।
একই অভিযোগ করেছেন রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, আরাফাত মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় রাতেই কোতোয়ালি থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কপি রেখে দিলেও জিডি এন্ট্রি করেনি।
গত বুধবার রাতের কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এসআই আনছারুল হক বলেন, কিশোরদের নিখোঁজ সংক্রান্ত ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার বলেন, আমরা কাউকে আটক করিনি।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। তবে থানার পরিদর্শক শেখ তাসমীম আলম জানিয়েছেন, সব জিডি আগে থেকে নেয়া হয় না। ওই তিন কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।