ক্রীড়া ডেস্ক : আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে শুক্রবার। জেমি সিডন্স ফের আসছেন বাংলাদেশে, এবার ব্যাটিং কোচ হয়ে এবং দায়িত্ব নেবেন ফেব্রুয়ারিতেই।
শুক্রবার বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সেই কথাগুলোই বলেছেন আনুষ্ঠানিকভাবে। তবে ১০ বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিরতে যাওয়া সিডন্স আসলে কাদের নিয়ে কাজ করবেন, সেটি পরিষ্কার করে বলতে পারেননি বিসিবি প্রধানও।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিডন্স। তার অধীনে বাংলাদেশের চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় দায়িত্ব ছাড়তে হয় এই অস্ট্রেলিয়ানকে।
এবার তিনি আসছেন নতুন দায়িত্ব নিয়ে। কাজ করবেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। কিন্তু কাদের নিয়ে কাজ করবেন? এখনই সুনির্ধারিতভাবে জানাতে পারেননি পাপন।
বিসিবি সভাপতি জানান, ’আমরা তাকে ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি, কোন জায়গা নিয়ে কাজ করবেন তিনি; সেটা হতে পারে হাইপারফরম্যান্স, অনূর্ধ্ব-১৯ কিংবা জাতীয় দল। আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিতে পারবেন তিনি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা আমরা ঠিক করবো। আমরা যদি বলি এইচপি, আমরা যদি বলি অনূর্ধ্ব-১৯, আমরা যদি বলি বাংলাদেশ টাইগার্স কিংবা ১৫ টা ছেলেকে নিয়ে তাকে দিই…’
‘সমস্যা তো অনেকগুলো। এই যে দল সিরিজে আছে, এই সময় কিন্তু কোচিং করা যায় না। যারা নিউজিল্যান্ডে গেছে তারা ছাড়া যারা দেশে আছে তাদের কোচিং হচ্ছে না। এই যে একটা গ্যাপ, এটা দেশি হোক বিদেশি কোচ হোক, আমরা ব্যাটিং-বোলিং উন্নতি করাতে চাই।’
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স। তার সঙ্গে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি আছে বিসিবির। সিডন্স যদি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন, তবে প্রিন্সকে চুক্তির অর্থ বুঝিয়ে দিয়েই বিদায় করতে হবে। বিসিবি সেই পথে হাঁটবে কিনা, সেটাও একটা প্রশ্ন।