কামাল হাওলাদার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ): নতুন বছরের ৩ সপ্তাহ পার হলেও কোটচাঁদপুর উপজেলার ৭৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১টি করে বই পেয়েছে। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিকের শিশুরা কোন বই-ই পায়নি। আর যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা নতুন করে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে বই সংকটের কারণে তাদেরকেও বই দেয়া হয়নি। নতুন বই না পাওয়ার কারণে শিশুরা হতাশ হয়ে পড়েছে। বই না পেয়ে অভিমানে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে অনীহাও প্রকাশ করছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, কোটচাঁদপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকসহ এখানে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে। অথচ নতুন বছরের ৩ সপ্তাহ পার হতে চললেও প্রাক-প্রাথমিক, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির সাড়ে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি। বে-সরকারি পর্যায়ে উপজেলার ১৮টি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীরাও বই পাওয়া নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুপস্থিতিতে সহকারী শিক্ষা অফিসার কোমল কুমার ভট্টাচার্য্যরে সাথে কথা হলে কবে নাগাদ বই সরবরাহ করা যাবে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই সরবরাহ করা হবে। বই দিতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাপাখানার সমস্যার কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে মাধ্যমিক পর্যায়েও বই বিতরণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ৯টি মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী কোন বই-ই পায়নি। উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২২টি। নি¤œ মাধ্যমিক ৩টি। মাদরাসা ৯টি। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী ৯ হাজার ২৭৫ জন। মাদরাসা শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৬৭৫ জন। মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৯১টি। বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩১৫টি। বাকী রয়েছে ৩৪ হাজার ৫৭৬ টি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন মিয়া বলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকী বই সরবরাহ করা হবে। তিনিও ছাপাখানার সমস্যার কারণে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই সরবরাহে বিলম্ব হয়েছে বলে মনে করেন।