নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা আইন শৃঙঙ্খলা কমিটির সভায় এয়ারপোর্ট থেকে দড়াটানা পর্যন্ত তোরণ না রাখার জন্য সুপারিশ করেছেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার। রোববার কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষর মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একই সাথে আগামী ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যশোরে আগমন উপলক্ষে যশোরে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে এক গুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমজিুল ইসলাম খান। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যশোরে আগমন উপলক্ষে যশোরের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সার্বিক ভাবে সফল করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
এ সময় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে দড়াটানা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। এ রাস্তায় প্রায় অর্ধশত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তোরণগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করেন। তবে ওই রাস্তা ব্যতিত অন্য রাস্তায় নির্মাণ করতে পারবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ভিভিআইপির নিরাপত্তার স্বার্থে কোন বিশৃংখলা বরদাস্ত করা হবে না। জনসভায় মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও মতামত ব্যক্ত করেন, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, বিজিবি অধিনায়কের পক্ষে মেজর সেলিম আহম্মেদ, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, পাবলিক প্রসিকিউটর ইদ্রিস আলী, চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মোস্তানিছুর রহমান, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, কেশবপুরের পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম, চৌগাছা পৌরমেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল,
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার, বিআরটিএ যশোরে সহকারী পরিচালক এসএম মাহফুজুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা, ইসলামী ফাউন্ডেশেন যশোরের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম প্রমুখ।
এছাড়া জেলা আইন শৃঙঙ্খলা কমিটির সভায় ডেঙ্গু, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মানব পাচার, অনিবন্ধিত ক্লিনিক, স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আলোচনা করা হয়।