নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের আলোচিত পঙ্গু হাসপাতালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান হত্যাকা-ে জড়িত কোন আসামিকে গত আট দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া দিনে দিনে হত্যাকা ণ্ডের মোটিভ উদ্ধারে নানা ধরণের জট বাঁধতে শুরু করেছে। তেমনি হত্যাকা-ের শিকার মফিজুরের লাশের ময়না তদন্ত নিয়েও ডাক্তার রউফ বিভিন্ন দেনদরবার শুরু করেছেন। ফলে এমন আলোচিত ঘটনায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়েও নানা সংশয় প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনার।
যদিও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এআই কাজী আবু জুবাইর বলছেন হত্যার কারণ উদঘাটন এবং খুনিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
গত ৩১ মার্চ যশোর শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকার পঙ্গু হাসপাতালে খুন হন ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান। মাকে চিকিৎসা করাতে এসে নিজেই লাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। পঙ্গু হাসপাতালের মালিক ডাক্তার আব্দুর রউফ নানা অপকর্ম ঢাকতে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। হাসপাতালটিতে সেবার নামে অপচিকিৎসা ও নির্যাতনের শিকার দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা। আর সেই অপকর্মের বলি হয়েছেন মফিজুর রহমান। ৩১ মার্চ দুপুরে ডাক্তার হাসপাতালে উপস্থিতি অবস্থায় মফিজুর রহমানকে সন্ত্রাসীদের কাছে তুলে দিয়ে হত্যাকা-টি ঘটানো হয় বলে স্থানীয়রা মনে করেন। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে শেখ সোয়েব উদ্দীন কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেছেন। কিন্তু ঘটনার আটদিন পার হলেও ওই মামলার কোন আসামি আজও আটক হয়নি। এমনকি খুনের মোটিভ উদঘাটন করাও সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার রউফ নিজেই এই হত্যাকা-টি দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্য বিভিন্নস্থানে দেনদরবার শুরু করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়েও নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই হত্যা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়েও এখন নানা সংশয় প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা। এদিকে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী আবু জুবাইর বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এই হত্যাকা-টি তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।