নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত শুকিয়ে যাওয়া মরা রেইনট্রি (শিশু) গাছের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ মৃত্যুর শংকা নিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি গাছটি অপসারণের। এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা নেই যেনো স্থায়ী জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের। অথচ এ গাছের জন্য প্রাণহানি ঘটলে এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে এমনটাই বলছেন পথচারীগণ। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি ও বাতাসে শুকনো ডাল ভেঙে পড়ে কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
যশোরের ঝিকরগাছা প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ডের মাঝখানে মরা গাছটি যমদূত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছের নীচে রয়েছে ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের খুটি এবং তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। একেবারে গাছের নীচেই আছে বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, এস কে সুপার মার্কেট, একটি হোটেল, ট্রাক মালিক সমিতির অফিস, একটি মুদিখানা, একটি চায়ের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান। যশোরগামী বাসগুলোর স্টপেজ গাছটির নিচে। তাছাড়াও সারাদিন এই গাছের নিচে দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে। এ রকম ব্যস্ততম একটি জায়গায় মরা গাছটি দাঁড়িয়ে থাকায় জনমনে মৃত্যু আতংক রয়েছে।
গাছের নীচে অবস্থিত চা বিক্রেতা হাকিম জানান, শুধুমাত্র পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে দোকানদারি করি। সামান্য বাতাসেই এই মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। আমার দোকানের ওপরেও একবার গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আমি আহত হয়েছি।
বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুস শুকুর বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময়ই শংকিত থাকি, কখন না জানি গাছের ডাল ভেঙে মসজিদের উপর পড়ে। স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এস কে সুপার মার্কেটের মালিক বাবুল হোসেন বলেন, এই গাছটি যদি ভেঙে পড়ে তাহলে আমার মার্কেটের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সবসময় আতংকে থাকি কখন না জানি গাছ ভেঙে মানুষ মারা যায়।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, এই গাছসহ যশোর বেনাপোল মহাসড়কের সকল মৃত ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণের জন্য আমি জেলা পরিষদে চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় গাছগুলো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। এই গাছগুলোর কারণে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: চক্ষু সেবায় অবদানের জন্য পিকেএসসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা