জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে নানান প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার সমাবেশস্থল যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃংখলাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। জনসভা মঞ্চ নৌকার আদলে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার ৮শ বর্গফুটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শদহদুল ইসলাম মিলন ।
এদিকে জনসভা সফল করতে শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের নেতৃত্বে ৮টি উপ-পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে। যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। দু’একদিনের মধ্যে শুরু হবে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। এতে জেলা নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। জনসভাকে মহাসমাবেশে পরিণত করার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এবং শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী সমর্থকরা সুশৃঙ্খলভাবে যাতে সমাবেশে অংশ নিতে পারেন, এজন্য দেয়া হচ্ছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
অন্যদিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি। এ সময় ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজ ও পৌরপার্ক পরিদর্শন করা হয়। পরে যশোর সার্কিট হাউসে দীর্ঘ সময় সার্বিক বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক সূত্র।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে ৮টি উপ-পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে অর্থ উপ-পর্ষদ গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনকে আহ্বায়ক ও সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপিকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। পর্ষদ’র সদস্য মনোনীত হয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি), কাজী নাবিল আহমেদ (এমপি), রনজিত কুমার রায় (এমপি), শেখ আফিল উদ্দিন (এমপি), মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক নাসির উদ্দীন (এমপি), যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌর মেয়র হায়দার গনী খান পলাশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
আপ্যায়ন উপ-পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছে ৮ সদস্যের। এতে আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক। উপ-দপ্তর পর্ষদ হয়েছে ৬ সদস্যের। এতে আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। অভ্যর্থনা উপ-পর্ষদ গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে আহ্বায়ক হয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সদস্য সচিব করা হয়েছে শাহীন চাকলাদার এমপিকে। ১৩ সদস্যের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পর্ষদ’র আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দীন আহমেদ। মঞ্চ সাজসজ্জা উপ-পর্ষদ’র আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ এবং শৃঙ্খলা বিষয়ক উপ-পর্ষদ’র আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদারকে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে মহাসমাবেশে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে নানা প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছি। দু’একদিনের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ৫০ বছর আগে যশোর স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে মানুষের ঢল নেমেছিল। আর এবার তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখবেন। এ জনসভাটি রূপ নেবে জনসমুদ্রে।
আরও পড়ুন: রোগী ছটফট করলেও ডাক্তার আসেনা, নার্সই ভরসা