নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়ায় সখিনা বেগম ওরফে সখি (৪২) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। তিনি ঝিকরগাছার বাঁকড়া সোনাকুড় গ্রামের নিয়াম উদ্দিনের স্ত্রী। পরকীয়ার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজান (৪৫) নামে বিশ্বাস ইটভাটার এক স্কেভেটর চালককে আটক করা হয়েছে। মিজান সোনাকুড় গ্রামের ওহাব গাজীর ছেলে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সোমবার সকালে এলাকাবাসী সোনাকুড় গ্রামের সাত্তারের মাল্টা বাগানে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত সখিনার কপালে আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশের পাশে বিষের বোতল পাওয়া যায়। নিহত সখিনার স্বামী নিয়াম উদ্দিন দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। গত ২/৩ মাস তিনি দেশে ফিরেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, রোববার (১৫ মে) সন্ধ্যার দিকে সখিনা বেগম সখি পাশের মণিরামপুর উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে বাপের বাড়ির যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন সোমবার সকালে সখিনা বেগম সখির লাশ সোনাকুড় গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মাল্টা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন সরকার জানান, স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে সখিনা মিজানের সাথে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই সখিনা ও মিজান বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতো। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৫ মে বাপের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সখিনা বাড়ি থেকে বের হলেও সেখানে যায়নি। ওই দিন বিকেলে বাঁকড়া বাজারে তিনি মিজানের সাথে দেখা করেন। এর আড়াই ঘণ্টা পর অর্থাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় সখিনা মিজানকে মোবাইল করে তার সাথে দেখা করার জন্য। মিজান সখিনার ফোন পেয়ে সোনাকুড় গ্রামের সাত্তারের মাল্টা বাগান যায়। সেখানে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর মিজান সখিনার গলা ধরে একটি আম গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। সখিনা মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর মিজান তার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে মিজান পুলিশকে জানায়।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, সখিনা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে সোমবার দুপুরে বিশ্বাস ইটভাটা থেকে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
বাঁকড়া ইউপি সদস্য সোনাকুড় গ্রামের এরশাদ আলী জানান, নিহত সখিনার সাথে মিজানের পরকীয়া ছিলো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।