ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের খেলার শুরু থেকেই ‘ইশ’ শব্দটি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত ছিল। প্রথমেই ক্যাচ ফেলে দেয়ায় দর্শকরা ‘ইশ’ শব্দটি মনের অজান্তে বলে ফেলেন। ‘ইশ! যদি ক্যাচআউটটি হয়ে যেতো, শেষ ওভারের আগের ওভারে একটি চারের বাউন্ডারি হতো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্ত-সমর্থকদের প্রায় সবার কণ্ঠেই শুধু এই একটি কথা। আর এর কারণ, আশা জাগিয়েও বাংলাদেশের হার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হারটি মানতে পারছেন না ভক্ত-সমর্থকর। তাই সবার মাঝে গেঁথে গেছে দুঃখ।
অ্যাডিলেডের শীতের মধ্যে গা গরম করা ব্যাটিং শুরু করেন লিটন দাস। তার ব্যাটিং ঝড়ে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। এরপরই নামে বৃষ্টি। আকাশের ওই কান্না না থামলে জয়ের হাসি হাসতো বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া মাঠে ভারতকে নাগালে পেয়েও বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির বাধায় বাংলাদেশের ইনিংস নেমে আসে ১৬ ওভারে। দলের সামনে শেষ ৯ ওভারে ৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। হাতে ছিল ১০ উইকেট। কিন্তু লিটনের রান আউটে মন ভাঙে ভক্তদের। এরপর নাজমুল শান্ত, আফিফ, সাকিবরা একে একে ফিরে যাওয়ায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এই হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন একপ্রকার শেষ হলো। ভারত এগিয়ে গেল শেষ চারের পথে। অথচ বৃষ্টির কারণে মাঠ পুরোপুরি না শুকানোয় পা পিছলে আউট হয়েছেন লিটন। সাকিব-নুরুলের শট ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সীমানায় আটকে গেছে। যেখান থেকে একটা বেরিয়ে গেলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। বৃষ্টি না নামলে এবং সেট লিটন ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারলে বদলে যেতে পারতো ম্যাচের রঙ। বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে আটকাতো না।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটে তোলে ১৮৪ রান। বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে সাতটি চার ও একটি ছক্কা আসে। ওপেনার কেএল রাহুল খেলেন ৩২ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চারের শটে ৫০ রানের ইনিংস। এছাড়া সূর্যকুমার ১৬ বলে চারটি চারে ৩০ রান করেন।
বাংলাদশের হয়ে আশা দেওয়া লিটন ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলা এই ব্যাটার ২১ বলে পূর্ণ করেন নিজের ফিফটি। তার সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি দেওয়া শান্ত ফিরে যাওয়ার আগে ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান করেন। সাকিব ১২ বলে ১৩ এবং নুরুলের ১৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় আসে ২৫ রান। তাসকিন ১২ রানের ইনিংস খেলন।
তাসকিন দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন। সাকিব ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তিন উইকেট পেলেও হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে খরচ করেন ৫৭ রান। ভারতের হয়ে অর্শদ্বীপ সিং ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। শামি ৩ ওভারে ২৫ রানে নেন এক উইকেট। হার্ডিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট দখল করেন।
সর্বশেষ
- স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করার কী ফল পেল নিউজিল্যান্ড
- আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত
- বেনাপোলে সীমান্তে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা
- অবকাঠামো নির্মাণে জমি বরাদ্দ ও দ্রুত সেবা কার্যক্রম চালুর দাবি
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও গণঅধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: শামীম পাটোয়ারী
- মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচন, চাকরিতে অযোগ্য
- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এখন লেবু বিক্রেতা
- কোটচাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ড্রাগন চাষির মৃত্যু, আহত এক