নিজস্ব প্রতিবেদক: হাতে মোবাইল ফোন, টেলিভিশনে দিন-রাত চোখ। অনেকেই আবার ফেসবুকে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর যাদের অভিভাবকদের নজরদারি বেশি তারা আছেন পড়াশোনার চাপে। ফলে শিশুদের বিনোদনের জগত কিংবা মেলে ধরার অবারিত সুযোগ যেন বন্দি হয়ে গেছে।
শিশু-মনের ভাবনা প্রকাশের জায়গা থেকেই যশোরের শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাদার্স টিটো’স হোম আয়োজন করা হয়েছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী শিশু হস্তশিল্প প্রদর্শনী। শনিবার দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে চলা এই বার্ষিক হস্ত শিল্প প্রদর্শনী ও বিক্রয় কার্যক্রমে শিশুদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখা যায়। নিজেদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসে তারা। এই সময় অনেককে ক্রেতার সাথে দামদর করতেও দেখা যায়। আবার অনেকে পণ্যর দামের সাথে ‘ফিক্সড প্রাইজ’ লেখা পোস্টার টাঙ্গিয়ে রাখে।
বিদ্যালয়ের কেজি ছাত্র অর্পন পালদার বর্মন কাগজের তৈরি মুকুট, জাহাজ, চশমা, নৌকাসহ বেশ কয়েকটি পণ্য নিয়ে বসেছিলেন। তবে প্রদর্শনীর সময় একঘণ্টা পার হলেও তার কোন বিক্রি হয়নি বলে জানান।
তবে সাবিক সাদাতের প্রদর্শিত অনেক পণ্য বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সাবিক সাদাত হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, ঢেঁকি, পালকিসহ ক্যালেন্ডার, রকেট সাজিয়ে রেখেছিল।
আজমাইন ক্রাফটসে পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করছিলেন পূজা শিকদার। তিনি বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমে বাচ্চার খুব আগ্রহী। এটা বাচ্চাদের মনে আনন্দ দিবে। নতুন কিছু শিখতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আলী আযম টিটো বলেন, বাচ্চাদের পড়া শেষ করার পর কোন কাজ থাকে না। কাজ না থাকায় তারা টেলিভিশন, মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে।
তাই আমরা শিশুদের ব্যস্ত রাখার জন্য হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এখান থেকে যা শেখে তা তারা বাসায় তৈরি করে। তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বার্ষিক হস্ত শিল্প প্রদর্শনী ও বিক্রয় কার্যক্রম করা হয়। এখান থেকে পণ্য বিক্রি করা টাকা শিক্ষার্থীরা নিজেরা নিয়ে যায় বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, বাচ্চারা ক্রাফটসের কাজ শেখার টি-শার্ট নিয়ে কাজ করে। এই অনুষ্ঠানে সেই টি-শার্ট গুলো নিলাম করা। নিলাম থেকে অর্জিত টাকা দিয়ে শীতবস্ত্র কিনে বিতরণ করা হয়।