এইচএম সাগর হিরামন, খুলনা: ভর্তির লটারিতে খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির তালিকায় এক ছাত্রীর নাম এসেছে ৯ স্থানে। বিষয়েটি নিয়ে চলছে গোটা স্কুলসহ শহর জুড়ে সমালোচনা।
সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তির তালিকায় অনিন্দিতা সরদার আশি, পিতা অনিরুদ্ধ সরদার, মাতা নিপা রায় নামে এক ছাত্রী প্রাতঃ শাখায় ৮ স্থানে ও দিবা শাখায় ১ স্থানে ওই শিক্ষার্থীর নাম এসেছে।
ভর্তির আবেদন এ নাম ও মোবাইল নাম্বারে রয়েছে ভিন্নতা। তিন নামে অনিন্দিতা সরদার আশি, অঙ্কিতা সরদার নির্জা ও অঙ্কিতা সরদার নীতি নামে ভর্তির আবেদন করা হয়। আবেদনের সময় ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি ভিন্ন মোবাইল নম্বর ও পৃথক পৃথক জন্মসনদ নম্বর। কিন্তু পিতা ও মাতার নাম সব স্থানে একই রয়েছে।
প্রাতঃ শাখায় ১৯,৩২,৩৭, ৮১, ৮২, ৯০ ও ১০৮ এবং দিবা শাখায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে এসেছে একই ছবির এই শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ। চতুরতার আশ্রয় নিয়ে একই শিক্ষার্থীর নামে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে স্কুলের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, লটারি ঢাকাতে পরিচালিত হয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবেদন এ ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল ধরেননি ওই শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা।