জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়াকড়িতে যশোরে বন্ধ হয়ে গেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচল। আত্মগোপনে গেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুন-গুম হত্যা মামলার আসামি এবং মাদক ও অস্ত্র কারবারীরা। দিন-রাত সারাক্ষণ যেসব সন্ত্রাসী-কিশোর গ্যাং অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াতো তাদেরও দেখা নেই।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত কিছু চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্রকারবারী কথিত ‘বড়ভাই’দের ডেরায় অবস্থান করছে। তারাও খুব সতর্কতার সাথে চলাচল করছে। তবে অধিকাংশ অপরাধী গা ঢাকা দেয়ায় শহরে মোটরসাইকেলের চলাচল কমে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে পুলিশ, র্যাব ও ডিবিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা জোরদার হয়েছে। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, খুন-গুম ও হত্যা মামলার আসামি, চিহ্নিত চাঁদাবাজ এবং মাদক ও অস্ত্র কারবারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। যশোরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গোটা জেলায় যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর, তখন কথিত ‘বড়ভাই’র পরামর্শে জেলা ছেড়ে পালিয়েছে অনেকে।
কেউ আবার শহরতলীর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এসব দাগী-চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, খুন-খারাপী, টেন্ডারবাজি ও ছিনতাই করে আসছিল। সূত্রের দাবি, নিয়ন্ত্রণহীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এই নির্দেশনা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে না, চলবে বছরজুড়ে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাসীন দলের লবিং-গ্রুপিং নির্মূলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সূত্র মতে, স্থানীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আধিপত্য বিস্তারে মাদক-অস্ত্র কারবারী, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও খুনিদের মদদ দিয়ে থাকে। তাদের গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও অনীহা কাজ করে। ফলে খুনোখুনি, টেন্ডারবাজি, মাদক ও অস্ত্র কারবারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পরের সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল-পাল্টা দখলের ঘটনাও ঘটে।
মোটরসাইকেল মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম জানান, দিনভর গ্যারেজ খুলে রেখে প্রায় শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। মোটরসাইলে আসছে কম। যেকারণে কাজ-কর্ম হচ্ছে না।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার বলেন, যশোরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গোটা জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর। শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালমান রয়েছে। সব ধরনের অপ্রীতিকার পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের সব বিভাগ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে চোখ রাখবেন যাদের উপর