নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর পৌরসভার সাত নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শ্রমিক নেতা সাহেদ হোসেন নয়ন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় মাসুদ ও অমিত নামে তার দুই সহযোগী আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে যশোর শহরের টিবি ক্লিনিকের সামনে তাদের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার খবর জানাজানি হলে কাউন্সিলর নয়নের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে তারা শংকরপুর বাস টার্মিনালের কাছে যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ বিষয়ে নয়নের পিতা ফারুক হোসেন থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
কাউন্সিলর সাহেদ হোসেন নয়নের পিতা শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা ফারুক হোসেন জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নয়ন তার সহযোগী মাসুদ, অমিত ও রাজুকে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে শংকরপুরে তার অফিসে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে টিবি ক্লিনিকের সামনে পৌছালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই এলাকার রনির নেতৃত্বে শরীফুল ইসলাম, রুবেল ওরফে কপাল কাটা রুবেল, শুভ, সবুজ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, জসিম, শহীদুল ও রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে নয়নের উপর হামলা করে। নয়নের সাথে থাকা মাসুদ, অমিত ও রাজু ঠেকাতে গেলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। সন্ত্রাসী হামলায় আহত মাসুদকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নয়নের উপর হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলো কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হামলার কারণ হিসেবে নয়নের পক্ষ থেকে বলা হয় পৌরসভা নির্বাচনে রনি হেরে যাওয়ার পর থেকে নয়নের সাথে শত্রুতা হয়। এরপর নয়নকে দেখে নেয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এর জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। নয়নের উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে শহরের টার্মিনাল এলাকার যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এদিকে, নয়নের উপর হামলার খবর শুনে দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেল্লাল হোসাইন ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকারসহ পুলিশের একটি টিম উপস্থিত হন। তারা নয়নসহ উপস্থিত শ্রমিক নেতাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন।
অপরদিকে কাউন্সিলর নয়নের উপর হামলার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে ওসি তাজুল ইাসলাম তা গ্রহণ করেনি বলে নয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে অভিযোগের বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
যশোর পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দাবি করছি।
সর্বশেষ
- পোস্টার নিষিদ্ধ, এখনই সরাতে দলগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি সিইসির
- সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট : প্রধান উপদেষ্টা
- যশোরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তিতাস আটক
- যশোর উপশহরের পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
- তরিকুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের জার্সি উন্মোচন
- জজ কোর্ট মোড়ে ইজিবাইক-রিকশা পার্কিংয়ে তীব্র যানজট
- মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
- শংকরপুরে এমপি প্রার্থী সাবিরা নাজমুলের কর্মী সমাবেশ