সাড়াতলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো গাছ বিক্রিকালে সরকারি রাস্তার গাছ দাবি করে জেলা পরিষদ কাটা গাছ উদ্ধার করে তাদের জিম্মায় নিয়েছে। উদ্ধারকৃত ওই গাছের গুড়ি ঝিকরগাছা ব্যাংদহ ডাকবাংলোয় রাখা হয়েছে।
উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের সাড়াতলা-ছুটিপুর সড়কের গৌকর্ণ গ্রামের গৌকর্ণ হাফেজী ও এতিমখানার সামনে পাকা রাস্তার পাশে গ্রামের মোহাম্মদ আলী কয়েক বছর আগে তার লাগানো শিশু গাছের মধ্য থেকে রাস্তার পাশের একটি গাছ স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ির কাছে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করলে ওই ব্যবসায়ি গাছটি কেটে শনিবার সকালে ট্রলিযোগে সাড়াতলা বাজারের অদূরে স’মিলে রাখার উদ্দেশ্যে আনেন।
এ সময় যশোর জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার আরিফুল ইসলাম সরকারি রাস্তার গাছ (জেলা পরিষদ) দাবি করে পাকা রাস্তার উপর ট্রলিতে রাখা গাছের তিনটি বড় গুড়ি উদ্ধার করে নিজ জিম্মায় নেন।
কাঠ ব্যবসায়ি আরমান জানান, গৌকর্ণ গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে তার জমির উপর লাগানো রাস্তার পাশ থেকে একটি বড় শিশু গাছ ১৩ হাজার টাকা কেনার পর গাছটি মারাসহ আনুষঙ্গিক আরও ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। এখন জেলা পরিষদের লোক এসে বলছে এটি সরকারি রাস্তার গাছ।
যশোর জেলা পরিষদের কর্মচারি কেয়ারটেকার আরিফুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সরকারি রাস্তার গাছের তিনটি বড় গুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গুড়িগুলি ঝিকরগাছা ব্যাংদহ ডাকবাংলোতে রাখা হবে।