নিজস্ব প্রতিবেদক: মণিরামপুরের পাতন জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন ও পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভুতভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়োগের ঘটনায় আদালতে রিট করায় সহকারী প্রধান শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাধা প্রদানসহ মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন রকমের হুমকির পাশাপাশি স্কুলের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন ডলি এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর পৌর এলাকার পাতন-জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন ও পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভুতভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে একজন জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জৈষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবেদন করাসহ ওই নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত রিট শুনানি শেষে অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
এ ঘটনার পর থেকেই নিয়ম বহির্ভুত বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুনকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে আসছেন। মামলা তুলে না নিলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে বরখাস্তের হুমকিও দিচ্ছেন। তাছাড়া গত ৭ ডিসেম্বর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুনকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দিয়ে চলেছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ শিক্ষকদের বসার কক্ষে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় অফিস ভবনের বাইরে অবস্থান এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দেয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়ে অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন অব্যাহত হুমকি-ধামকি ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দেয়ার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেও কোন ফল না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কবির হোসেন পলাশ জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুনের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি রোববার সরেজমিন বিষয়টি অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় আর্জেন্টিনার সমর্থকের করুণ মৃত্যু